এনিড মেরি ব্লাইটন 1897 সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিশু লেখকদের একজন,আনুমানিক 700টি বই লিখেছিলেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সিরিজের মধ্যে রয়েছে দ্য ফেমাস ফাইভ এবং দ্য সিক্রেট সেভেন ।তার লিখিত বই গুলি মুলত শিশুদের নানা ধরণের অ্যাডভেঞ্চারে এর জগতে নিয়ে যাওয়া , বিভিন্ন আবিস্কার ও এবং রহস্য সমাধান ধর্মী।
১৯৩০-এর দশক থেকে সারা বিশ্বে সর্বাধিক বিক্রীত বইগুলির মধ্যে পড়ে ও ৬০ কোটিরও বেশি বিক্রী হয়েছে। তাঁর বইগুলি আজও বেশ জনপ্রিয় ও প্রায় ৯০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এনিড ব্লাইটনের প্রথম প্রকাশিত বই ছিল চাইল্ড হুইস্পার্স। এটি একটি কবিতার বই ছিল এবং 1922 সালে প্রকাশিত হয়েছিল । তিনি এই সময়েও একজন শিক্ষক হিসাবে কাজ করছিলেন এবং তার অবসর সময়ে লিখেছিলেন। 1924 সালের আগস্টে, এনিড ব্লাইটন মেজর হিউ আলেকজান্ডার পোলককে বিয়ে করেন। তিনি জর্জ নিউনেসের প্রকাশনা সংস্থার সম্পাদক ছিলেন এবং তিনি এনিডের কিছু বই প্রকাশ করেছিলেন।
এনিড ব্লাইটন টাইপরাইটারে লিখতেন । তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি তার গল্পগুলি আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতেন না তার কল্পনা একটি বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমনকি চূড়ান্ত দৃশ্যেতেও নিয়ে যেত লিখতে লিখতেই । তিনি খুব দ্রুত টাইপ করতে পারতেন। তিনি একদিনে 10,000 শব্দের গল্প লিখতে পেরেছিলেন!
কেন শিশু কিশোরদের এনিড ব্লাইটন এর বই পড়া উচিৎ ।
1. কল্পনা করার শক্তি
তার বই বিশেষভাবে শিশুদের জন্য, তিনি খুব সহজ ভাষা ব্যবহার করে লিখতেন যাতে অল্পবয়সীদের পড়া সহজ হয়। তার লেখাগুলি মূলত একটি তরুণ মনের সৃজনশীলতা এবং কল্পনার উপর দৃষ্টি তুলে ধরে করে।তার ব্যবহৃত শব্দ এবং বর্ণনা তরুণ পাঠকদের মনে ছবি আঁকার জন্য যথেষ্ট। এটি চিন্তা ও কল্পনা করার ক্ষমতা বাড়ায়।
2. বন্ধু এবং পরিবারের র প্রতি ভালবাসা
ব্লাইটনের যেকোন বইতে পরিবার ও বন্ধুত্তের দৃঢ়বন্ধন এবং একে অপরের প্রতি যত্নশীলতা পাবেন।তারা সর্বসম্মতিক্রমে সবকিছু করে এবং নিশ্চিত করে যে গ্রুপের প্রত্যেক সদস্য সিদ্ধান্তগুলির সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এটি অল্পবয়সিশিশুদের প্রত্যেকের সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে এবং মূল্য দিতে শেখায়।
3. প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতি
ব্লাইটনের লেখা প্রায় সব দুঃসাহসিক এবং রহস্য বইতে মূল চরিত্রগুলির মধ্যে একটি পোষা প্রাণী রয়েছে – দেখা যায় কখনো কুকুর বা একটি বুদ্ধিমান তোতাপাখি । গল্প গুলিতে শিশুরা সর্বদা তাদের পোষা প্রাণীকে তাদের দলের সদস্য মনে করে ও ভালবাসে । পাঠকরা তাদের পোষা প্রাণীদের মূল্য দিতে শেখে যেমন তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের মূল্য দেয়।
4. হেলদি খাবার খেতে উৎসাহ পাওয়া।
শিশুরা খেতে চায় না এটা কমবেশি সব দেশেই সমস্যা ছিল । ব্লাইটন করলেন কি তার বইগুলিতে গল্পের নানা পটভুমিতে খাবারের প্রাণবন্ত বিবরণ দিয়েছেন। যার মধ্যে সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন সালাদ, তাজা ফল এবং শাকসবজি যেমন লেটুস, পালং শাক এবং তাজা বেরি , টুনা এবং সার্ডিন, সিদ্ধ ডিম, বাটার স্কোনস, স্টিমড আলু, তাজা জুস, ফ্রুট কেক, সসেজ এবং চকোলেটের লোভনীয় কিন্তু সহজলভ্য বিবরন থাকত । যাতে শিশুরা মনে মনে খাবারের প্রতি একটা আকর্ষন রাখত আর নানা পরিস্থিতিতে নানা রকম খাবারে আগে থেকে অভস্ত্য হবার অভ্যাস করতে সাহায্য করে।
5. কঠিন সময়ে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া
বাচ্চাদের কেন এনিড ব্লাইটন এর বই পড়া উচিত তার আরেকটি কারণ হল তার বইগুলি দুঃসাহসিক-মুখী রহস্যে ভরা। কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলি তাদের অনুসন্ধিৎসুতায় বিভিন্ন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়ে । এতে তারা ভেঙে না পড়ে দ্রুত এবং সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রহস্যের অবসান ঘটায়। বিপদের সময়ে শান্ত থাকা এবং সমস্ত সম্ভাব্য ফলাফলের জন্য প্রস্তুত থাকা শেখায়। জীবনের নানা প্রয়োজনে পরিকল্পনা করার আগে নেতিবাচক এবং ইতিবাচক উভয় ফলাফল সম্পর্কে চিন্তা করার জন্য এই এনিড ব্লাইটনের বই গুলি খুবই কাজের
এনিড ম্যারি ব্লাইটন (১১ আগস্ট ১৮৯৭ – ২৮ নভেম্বর ১৯৬৮)