রাগ কি

মানুষ যা চায় তার বিপরীত কিছু হলে তখনেই যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাই রাগ। আবার একটা কাজ করতে চাচ্ছি কিন্ত হচ্ছে না । সে তখন ও রাগ হতে পারে । এটা সাভাবিক অবস্থা। তবে সামান্য বিষয়েও শুধু শুধু রেগে যাওয়া এটা স্বাভাবিক বিষয় নয়।

মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হল তার নিজের রাগ। রাগের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে মানুষ আর পশুর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য থাকতো না। এ ক্ষেত্রে কোনো বংশগত বা মানসিক সমস্যা থাকতে পারে

আমার ও রাগ আছে তবে ইদানিং খুব বেশি করি ছেলে মেয়ের সাথে । তারা পড়াশোনা না করলে বেশি বা একটা জিনিস বা কোন লিখতে দিলাম লিখল না বা ভুল লিখল তখন আমি বই খাতা শুরে মারি । ছেলে মেয়ে আর তুলে আনে না কিছু ক্ষন পড়ে আমি তুলে আবার পড়াতে বসাই।

“রাগ অনেক সময়ে ভালো কিছু হতে পারে “

রাগ মানুষের স্বাভাবিক একটি অনুভূতি, স্বাভাবিক আবেগ।। একেবারে রাগ নেই এমন মানুষ মনে হয় পাওয়াই যাবে না। রাগ কিন্তু ভালো, রাগ থেকে অনুরাগের সৃষ্টি হলেই হয় ভালো লাগা আর ভালো লাগা থেকেই ভালোবাসা। আর সেটা যে কারোরই হতে পারে।আমি ইংরেজি পারতাম না বলে আমার কলিক রা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত । সার্চ ইংলিশে জয়েন করে এখন আমি অনেক বড় পোশট ইংরেজিতে লিখতে পারি। জিদ করে ইংরেজি শিখে আমার লাভ ই হইছে। এই গ্রুপে এসে আমি ডিএসবি গ্রুপ এবং সোয়াপিবুক্স ও জয়েন এখন আমার হাতের লেখা ভালো করতেছি , বই পড়ে রিভিউ দিচ্ছি, বিভিন্ন ব্যক্তি বা স্থান সম্পর্কে ইতিহাস গ্রুপে পোস্ট করতে পারছি।

“রাগ করলে শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে”

রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগের মধ্যে একটি। তবে অতিরিক্ত রাগ সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, অন্যের কাছে অপ্রিয় করে তোলে আপনাকে। শুধু তা-ই নয়, শরীরেও কিন্তু এর বাজে প্রভাব পড়ে। যাঁদের অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর একটু ভেবে দেখুন, রেগে গেলে কিন্তু আপনার নিয়ন্ত্রণ অন্যের হাতে চলে যায়, তাই নয় কি? তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু কৌশল অবলম্বন করুন।

১. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়

২. স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়

৪. বিষণ্ণতা বাড়ায়

৫. আয়ু কমিয়ে দেয়

সব শেষ কথা রাগ আপনাকে কখনই সুস্হ থাকতে দিবে না এবং সাধারনভাবে জীবন যাপন করা থেকে বঞ্চিত রাখবে ।রাগ হচ্ছে শয়তানের ভাই এইজন্য প্রার্থনার মাধ্যমে নিজেকে শান্ত রাখুন ।কোনো ডাক্তার ঔষধ আপনাকে ভাল করতে পারবে না যতক্ষন আপনি নিজে চেষ্টা না করবেন কিভাবে নিজেকে শান্ত রাখা যায় ।

“রাগ কে কি ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যাবে ”

পৃথিবীতে বাঁচতে হলে অনেক সময় অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। কিছু কিছু মুহূর্ত আসে যখন নিজের অসীম ভালো লাগাকে বিসর্জন দিতে হয়। অভিমান কখনো মনে পুষে রাখা ঠিক না , ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিমান থেকেই বৃহৎ দূরত্বের সৃষ্টি হয়।
জীবন মানেই যুদ্ধ কখনো হাসি কখনো কান্না কখনো রাগ,কারো জীবনে কষ্টের ভাগ বেশি কারো জীবনে সুখের ভাগ বেশি আমাদের উচিত কষ্টের সাথে যুদ্ধ করে সুখকে জয় করা জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বাচার নামই হলো জীবন । অতিরিক্ত রাগ সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, অন্যের কাছে অপ্রিয় করে তোলে আপনাকে। শুধু তা-ই নয়, শরীরেও কিন্তু এর বাজে প্রভাব পড়ে। ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’- এটি শুধু কথার কথা নয়, এই সত্যকে নিজের জীবনেও প্রয়োগ করতে হবে। যখনই বুঝতে পারবেন যে আপনি রগে উত্তপ্ত, তখনই নিজের ভেতর থেকে সেই মুহূর্তে শীতল হবার চেষ্টা করুন, নিজের স্থির করুন। যে পরিস্থিতি আপনাকে রাগিয়ে দেয়, সেই জায়গা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন, চলে যান অন্য কোনো ঘরে, এমনকি স্নানঘরেও যেতে পারেন।। ধীর, গভীর শ্বাস নিন। এ রকম শ্বাসক্রিয়া চলতে থাকলে হৃদ্ঘাত হার নেমে আসে। শ্বাসগ্রহণ এত গভীর হওয়া উচিত যেন প্রতিটি শ্বােস প্রথমে পেট ফুলে ওঠে। চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিন, ১ থেকে ৬ পর্যন্ত গুনুন। এরপর শ্বাস ছাড়ুন ১ থেকে ৮ গোনা পর্যন্ত। থামুন, এ রকম করুন ১০ বার। তবে চোখ থাকবে মাটির দিকে, এই পন্থায় আপনার রাগ কমে যেতে বাধ্য। সশব্দে গুনলে এমনকি সংখ্যাগুলো নিজের প্রতি ফিসফিস করে বললেও এক মিনিটে জলদি শান্ত হওয়া সম্ভব। ১০০ থেকে পেছন দিকে গুনুন। চোখ দুটো বুজে প্রিয় স্মৃতি বা প্রিয় মানুষের কথা মনে করুন, যে কোনো একটি প্রিয়স্থানকেও ভাবতে পারেন। গান শুনলে মনের রাগ চলে যায়। মেজাজ ভালো হয়ে ওঠে। নিজের মনের ইতিবাচক চিন্তার দিকে লক্ষ করলে রাগকে কমানো সহজ হয়। আত্মসংযম বা রাগ নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা গুন। অর্জন করুন এই গুণটি আর ভালো থাকুন। আশা করি, এই পন্থাগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে আন্তে পারবেন।