জেন্ডার
জেন্ডার হচ্ছে সামাজিক ভাবে গড়ে ওঠা নারী পুরুষ এর পরিচয়, সামাজিক ভাব্র নির্ঢারিত নারি পুরুষ এর মধ্যকার সম্পর্ক, সামাজ কর্তৃক নির্ধারিত নারী পুরুষ এর ভুমিকা, যা পরিবর্তনশীল এবং সমাজ, সংস্কৃতি, স্থান ও কাল ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

জেন্ডার ইকুয়ালিটি বা জেন্ডার ন্যয্যতা
জেন্ডার ইকুয়ালিটি বলতে নারী পুরুষ এর প্রতি সুবিচার ও ন্যয্যতা বিধানের প্রক্রিয়া কে বুঝায়। কোন সুযোগ সুবিধা পাবার ক্ষেত্রে নারি বা পুরুষ যে কেউ পিছিয়ে থাকতে পারে বা সমান অংশ গ্রহনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই সমান সুযোগ ও অন্তর্নিহিত বাধাগুল কে বিবেচনায় এনে নারি এবং পুরুষ যাতে সমতায় আস্তে পারে তার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই জেন্ডার ন্যয্যতার কাজ।

জেন্ডার সমতা
জেন্ডার ইকুয়্যলিটি বা সমতা বলতে এমন একটা অবস্থা বুঝায় যেকানে নারী ও পুরুষ সমান সুযোগ সুবিধা এবং সুফল ভোগ করতে পারে। জেন্ডার সমতা বলতে বুঝায়। নারী ও পুরুষ সমান অবস্থানে থাকবে। যেখানে তারা তাদের সমান সম্পুর্ন মানবাধিকার প্র‍য়োগ করতে পারবে। এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এর অব্দান রাখবে এবং তার সুফল সমান ভাবে ভোগ করবে।

জেন্ডার সচেতনতা
নারী পুরুষ উভয়ই উন্নয়ন এর অংশিদার এবং তারা ভিন্নভাবে উন্নয়ন এর পথে অগ্রসর এবং বাধা প্রাপ্ত হয়ে থাকে। যেহেতু নারী পুরুষ এর প্রয়োজন, চাহিদা, এবং অগ্রগ্ন্যতা ভিন্ন, সেহেতু জেন্ডার সচেতনতা নীতিমালা নারী পুরুষ এর মধ্যকার বৈষম্যগুলো বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে জেন্ডার পক্ষপাত নীতিমালা ধারন এবং চর্চা পুনর্বিবেচনা করে থাকে।

ইংরেজি এবং বাংলায় অনুদিত জেন্ডার নীতিমালা সকল স্তরে প্রেরণ করা উচিত।

বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার কারিগরি সহায়তায় জেন্ডার সম্পর্কিত বিষয়াদি বিশ্লেষণ করার জন্য একটি বিশেষ কাঠামো ব্যবহার করা উচিত।

প্রতিষ্ঠানিক বিষয়াদি এবং গবেষণা, পরিবর্তন মুখী পদক্ষেপ, সেবাদান ও প্রশিক্ষণ কর্মসুচিগুলোকে জেন্ডার বিষয়টির সংশিলষ্টতার অগ্রগতি পরিবিক্ষন করা উচিত।

লিখেছেন রাজিয়া সুলতানা ।