আজ (17-23 April) থেকে থেকে বাংলাদেশ এ শিশু সপ্তাহ!  খুব কমনলি বাচ্চাদের জন্য মায়েদের তরফ থেকে যে সকল সমস্যাগুলোর শুনি,তা হল-

১ বাচ্চার ট্যাব বা মোবাইল এ গেম এর নেশা!
২ বাচ্চা ইংরেজি মিডিয়াম হলে বাংলা লিখতে পারেনা,বাংলা মিডিয়াম হলে ইংরেজি লিখতে পারেনা।
৩ কথা শুনতে চায় না।
৪ বিশেষ করে ১১/১২বছরের থেকে এই সমস্যার শুরু!
৫ এরকম ধাচের আরো অনেক।
৬ খুব সহজ এবং সংক্ষেপে কিছু পদক্ষেপ হয়ত বা এগুলো থেকে আমাদের উত্তোরন করতে পারে।

বাচ্চা কে মানানোর আগে আমাদের কিছু আচরণ লক্ষ্য করি!
বাইরে থেকে এসেই কি মোবাইল টা হাতে নিয়ে ফেসবুকে স্ক্রোল করতে থাকি?

বাচ্চা বিরক্ত (!) করে বলে কি তাকে মোবাইল গেম দিয়ে বসিয়ে রাখেন?

নিজের স্পেসের জন্য তাকে গেজেট দিচ্ছি না ত?
কোন বাধা ধরা নিয়মে সে থাকেনা, যখন খুশী ট্যাবে বা গেজেট পাচ্ছে।
যা খেলে, তার সম্পর্কে আমাদের কত টুক ধারনা আছে?

উপরের প্রশ্ন গুলোর উত্তর সততার সাথে নিজেকে দিন।
আশা করি, সলিউশন নিজেরাই পাবেন। তাও আমি সাহায্য করতে পারি।

১. সম্ভব হলে তার সামনে ফোন টিপবেন না। অন্য সময় করুন।
যদি নেহায়েত আপনাকে অনলাইনে কাজ করতে হয়, তাকে বুঝিয়ে বলুন- এক্সপ্লেন করুন যে আপনি আপনার কাজের মাধ্যম ই এটা। ব্যখা র দরকার নেই, এটা ভাববেন না। অবশ্যই দরকার আছে। আপনার ছোট বেলার যুগের বেলায় দরকার ছিল না, এখন আছে।
যুগ পাল্টেছে!

২. লেখালেখির ক্ষেত্রে বলি।
প্রতিদিন এক পাতা করে লিখতে বলবেন। প্রতিদিন।
বললেই হবেনা, একই বিষয় নিয়ে আপনিও লিখবেন। দুজন দুজনের টা ক্রস চেক করুন। জাস্ট লাইক গেম!

৩. আপনি কর্মজীবী।
বাইরে থেকে এসে ক্লান্ত লাগে,স্বাভাবিক। রাধতে ঢুকল, শুলেন, চা খেলেন,বাচ্চার সাথে কথা বলুন।
হাবিজাবি বলুন
,সে ইন্টার‍্যাক্ট না করলে আপনি করুন,মজার কিছু বলুন।
জড়িয়ে ধরুন।
টাচ খুব ভাল ইন্টার‍্যাকশন। শুধু বাচ্চা কেন,১১/১২/১৩তে জড়িয়ে ধরুন।
বাইরে গেলে কিছু রাস্তা হাত ধরে হাটুন। কাজ দেবে।

সে গেম খেলে।
পাশে বসে বলুন,আমাকে শিখাও। কাজে দেবে। সত্যি!

জেদ করলে উত্তর দেবেন না। মাঝে মাঝে ‘সাইলেন্ট’টেক্নিক ভাল কাজ করে।
ওর জেদ কন্ট্রোল করতে চিৎকার করবেন না। ফলাফল উলটো হবে।
খাবার ঘুমের সময় অর পাশে থাকুন। অন্তত এক বেলা।
আর
আর বাচ্চা প্রেশিয়াস তার চেয়ে প্রেশিয়াস তার সাথে আপনার সম্পর্ক!
এটায় গুরুত্ব দিন!
হ্যাপী প্যারেন্টিং!