কমিউনিটি ট্যুরিজম একটি টেকসই পর্যটন ব্যবস্থা যা টুরিস্টদের সাথে স্থানীয় মানুষের সংযোগ ঘটায় , শহরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গ্রামীণ পরিবেশ এর স্বাদ নিতে দেশি বিদেশী টুরিস্ট কমিউনিটি টুরিজম বান্ধব এলাকা গুলি ভিজিট করে , ভ্রমণের এই উদীয়মান দিকটি পর্যটকদের সত্যিকারের অভিজ্ঞতা দেয়, কমিউনিটি টুরিজম গ্রামীণ, দরিদ্র বা অর্থনৈতিকভাবে সীমিত আয়ের মানুষদের জন্য টেকসই অর্থ আয়ের সংস্থান করতে পারে ।
শহরের যান্ত্রিকতার একঘেঁয়েমি কাটাতে প্রকৃতির অনেক কাছাকাছি যেতে চান তারা। যেখানে একজন পর্যটক খুব সহজেই মিশে যেতে পারবে মাটি আর মানুষের সাথে। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর খুব সাধারণ জীবন যাত্রার সাথে মিশে যেতে যান অনেক ভ্রমণকারী। দেখতে চান গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতি আর আর মানুষ কতটা মিলেমিশে একাকার এখানকার জীবনযাত্রায়।
বিশ্বের বড় বড় নগর গুলি থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ মানুষ ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এর গ্রাম গুলিতে যান শুধু একটু গ্রামীণ জীবনের স্বাদ নিতে, কারন মানুষ পালিত পশুর সাহায্য আর কায়িক শ্রম দিয়ে ফলস ফলিয়ে তাই দিয়ে জীবন নির্বাহ করত এটা ওদের দেশে এখন ইতিহাস আর সাউথ এশিয়া + সাউথইস্টয়ের গ্রাম গুলিতে এখনো অনেকটা মধ্যযুগের কায়দায় চাষবাস করে মানুষ জীবন নির্বাহ করে ।
আমাদের কি কি সুযোগ আছে ?
আমাদের গ্রাম, গ্রামীনজীবন, মেলা, উৎসব, বিভিন্ন পেশা, অঞ্চল ভিত্তিক খাবার, কৃষি ভিত্তিক সমাজ এসব এখন টুরিজম সার্ভিস এর আওতায় পড়ে, সিজনের সময় স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ফল, সবজি+ফসলের দাম একেবারেই কম ,
আমরা দেশের ভেতরের মানুষরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি টার একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই । দেশের মানুষের সাথে যদি আপনার এলাকার যোগাযোগ ভাল করে ঘটাতে পারেন তাহলে সিজনের সময় সে পিয়াজ ১০ টাকা কেজি কৃষকরা বিক্রি করে সেটা আমরা ৩০/৫০ টাকা কিনে খাই অফ সিজনে ৬০/৭০/৮০ টাকা কিনি সেটা তারা ১৫/২০ টাকা বিক্রি করে, কমিউনিটি ট্যুরিজম থাকলে এই যে যোগাযোগটা তৈরি হয়, এটা পরে ইকমার্সের মাধ্যমে সারা বছর কাজে লাগানো যাবে । এই পেয়াজ বা রসুন ঘরে তোলার সময়টা একটা দারুন উৎসব উৎসব ভাব থাকে এটাকেও চাইলে এক্সাইটিং করে উপস্থাপন করা যায়, ছাত্র ছাত্রীরা চাইলে স্বেচ্ছা শ্রমের দ্বারা তাদের ফসল কাটার সময় হেল্প করতে পারে ।
কমিউনিটি ট্যুরিজম সারা বছরই সম্ভব আমাদের দেশ ৬টা ঋতুর বিচিত্রতা রয়েছে, প্রায় অনেক জেলায় তিন বার ফসল বোনা ও ঘরে তোলা হয় এতে অংশগ্রহণ করা এখন আর বিদেশ নয় দেশের ছেলেমেয়েরাও দারুন উৎসুক ।
সমস্যা
ব্রান্ডিং, মারকেটিং, ভাষা, জীবনযাত্রার পার্থক্য, নিরাপত্তা, কমিউনিকেশন এসব আমার মনে না যে অভারকাম করা খুব কষ্টের। এসব করা গেলে বাংলাদেশে বিদেশী টুরিস্টদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে ।
ব্যপক সম্ভাবনাময় এই শিল্পে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে এখনি সুযোগ, কারন বড় ইনভেস্টমেন্ট আসলে তখন আর গ্রামীণ ছোট ছোট ঊদোক্তারা সুবিধে করতে পারে না, টুরিজম কে এখন মাথার অফ আল বিজনেস এমনি এমনি বলা হয় না । সমস্ত ব্যবসার সাথে এর কোন না কোন একটা সম্পর্ক আছে
ছবি গুলি সংগ্রহ করা
You must be logged in to post a comment.