“একরাশ ভালো লাগায় ভরে মন রয়
চোখের সামনে যদি আসে সোয়াপিবুক”

ঠিক তাই, সোয়াপিবুক আমাদের আনন্দ, বিনোদন, ভালোলাগা আর ভালোবাসার একটি জায়গা যা সাথী ইসতেকার আপু তার ‘সপিবুক’ কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। জীবনের নানাবিধ জটিলতা ও ব্যস্ততা শেষে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে নিজেদের ভালো লাগার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, শিক্ষা, ধ্যান-ধারণা , সাহিত্য চর্চা, ছোট গল্প, কবিতা ইত্যাদির জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে এই সোয়াপিবুক গ্রুপ। সেই চিন্তা ধারা থেকেই নবীন লেখকদের লেখার সুযোগ করে দিতেই নতুন বছরের প্রথম দিনেই ‘সান্ধ্যআড্ডা’ নামে ই-ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে । এই ই-ম্যাগাজিন রচনায় আমিও সাথে থাকতে পেরে অনেক আনন্দিত ও উচ্ছাসিত।

‘সান্ধ্যআড্ডা’ চমৎকার নামটি থেকেই ম্যাগাজিনের প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। প্রথম প্রকাশ জানুয়ারী -২০১৯, পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৫০। অল্প পরিসরে নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে। কি নেই এতে? … ছড়া, কবিতা, গল্প, সাহিত্য সমালোচনা, অনুপ্রেরণা মূলক গল্প। এছাড়া একরাশ মুগ্ধতা মাখানো কিছু ছবি যা শুধু দৃষ্টিই আকর্ষণ করে না সাথে বইয়ের প্রতিও ভালোবাসা জন্মায়।

কবিতা ও ছড়া লেখায় মোট ১৭ জন অংশ নিয়েছে। প্রত্যকের ছড়া-কবিতা লেখার অসাধারণ ক্ষমতা আছে এবং পাঠককে মুগ্ধ করে। সাহিত্য সমালোচনা ও অনুপ্রেরণা মূলক লেখাগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে পাঠকের মনকে আকর্ষণ করে। রাজিব স্যারের লেখা অনুবাদ গল্প ‘আলেক্স হোলি’র স্বপ্নের ছায়ারাজ্য’ অন্তত একবার হলেও সকলের পরা উচিত। গল্পের প্রতিটি বাক্যে লেখকের রোমাঞ্চকর জীবনের মূহুর্তগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। ধৈর্য, চেষ্টা, অধ্যবসায় ছাড়া যে কোন কাজেই সফল হওয়া যায় না। কষ্ট, ধৈর্য ধরে কোন কাজ করলে অবশ্যই আজ বা কাল সফলতা আসবেই। রিডার্স ব্লক –কাটিয়ে উঠার উপায় সম্পর্কে দারুণ লিখেছেন হাসান মোহাম্মদ আলামিন। দৈনন্দিন জীবনে অলসতা কাটিয়ে পড়ার প্রতি মনোনিবেশ করার অন্যতম কার্যকরী উপায় সম্পর্কে লেখক এ গল্পে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়াও ‘বই পরে জ্ঞান অর্জন,’ ‘জেগে উঠুন-গেয়ে উঠুন’ গল্পগুলোও অসাধারণ।

সাহিত্য সমালোচনার ক্ষেত্রে আমার একটি লেখা ‘সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থ’ আছে সাথে আরো লিখেছেন জাহাঙ্গীর আলম নাসের রচিত ‘জীবনানন্দ দাশ ও বনলতা সেন’ , নীলুফা আফরোজ বিথী রচিত’ “আসমানী “ ছন্দ আর বাস্তবতার আয়না’। বাস্তবধর্মী লেখাগুলো লেখকের মনের মাধুরী মিশিয়ে ঠাঁই দিয়েছেন এ রচনায়।

ছোটগল্পগুলো পড়ে মনে হয় জীবন্ত সব চরিত্র, বাস্তবতায় ভরা কাহিনী। এবং লাল শাড়ি, শেষ বিকেলের গল্প, আজ তিতলীর বিয়ে, অতীতের ঘ্রাণ… অসাধারণ সব লেখনী। একবার পড়লে বারবার পড়তে ইচ্ছা করে।

বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মারুফ ভাই ও সেলিম বিশ্বাস ভাইয়ের প্রতি যাদের চিন্তা-চেতনায়, পরিশ্রমে এই ম্যাগাজিনের রূপদেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আশা করব নিয়মিয় ম্যাগাজিন প্রকাশ হবে ও নবাগত লেখকদের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে। সোয়াপিবুকের সাথেই থাকুন, ভালো থাকুন।