শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় বনাম রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ও তাদের দার্শনিক ক্লাস রসবোধ 

কোন এক কাজে শরৎচন্দ্র এর রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করার কথা , বারে বারে আসছেন কিন্তু তাকে বাড়িতে পাচ্ছিলেন না মৃণালিনী দেবী লজ্জায় পড়ে একদিন জিজ্ঞেসই করে বসলেন ব্যাপার কি , আমাকে বলুন আমি বলে দেব ।

তখন শরৎবাবু কিঞ্চিত হেসে বললেন , আসলে প্রাকিতিক নিয়মেই আসলে আমাদের দেখা হচ্ছে না , আমি চন্দ্র আর উনি রবি , আমার রাতের বেলা আসার কথা আর উনার দিনের বেলা বাড়ি থাকার কথা, কিন্তু উলটো কাজ করছি যে । তাছাড়া চন্দ্র আর রবি তে কি দেখা হতে আছে? মিল শুধু আলো তে , বলেই ছাতা মাথায় হাটা ধরলেন

শেষমেশ তাদের দেখা হয়েছিল কোন এক বিকাল বেলায় ।

…… আমি আলো বলতে জ্ঞান বুঝেছি 

পোস্ট টি শেয়ার করে মানুষ কে দেখার সুযোগ করে দিন , ছবিটি খুজে পেতে ২০ মিনিট লেগেছে আর পেলাম না, খুব সম্ভব বেশি ছবি নেই উনাদের একত্রে

 

রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে শরৎচন্দ্রের মৃত্যুসংবাদ শুনে ইউনাইটেড প্রেসের প্রতিনিধিকে বলেন-‘ যিনি বাঙালীর জীবনের আনন্দ ও বেদনাকে একান্ত সহানুভূতির দ্বারা চিত্রিত করেছেন, আধুনিক কালের সেই প্রিয়তম লেখকের মহাপ্রয়াণে দেশবাসীর সঙ্গে আমিও গভীর মর্মবেদনা অনুভব করছি’।
এর কয়েকদিন পরে ১২ই মাঘ তারিখে কবি আবার শরৎচন্দ্রের মৃত্যু সম্পর্কে এই কবিতাটি লিখেছিলেন-
যাহার অমর স্থান প্রেমের আসনে।
ক্ষতি তার ক্ষতি নয় মৃত্যুর শাসনে।
দেশের মাটির থেকে নিল যারে হরি
দেশের হৃদয় তারে রাখিয়াছে বরি।