বইঃ দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দা সী
লেখকঃ আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের লেখা ৪টি উপন্যাসের মধ্যে এই বইটির জন্যই তিনি ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
একজন বৃদ্ধের জেলে-জীবন নিয়ে লেখা আনের্স্ট হেমিংওয়ের বিখ্যাত উপন্যাস দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দা সী । ‘জীবনে ঘাত-প্রতিঘাতে হতাশ না হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা। দীর্ঘ সময়ে পরাজয়ে হতাশ না হয়ে আশাবাদী হওয়া। জীর্ণ-শীর্ণ গুরুর প্রতি শীর্ষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে গ্রন্থটিতে
দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দা সী কাহিনীটা শুরু হচ্ছে এভাবে :
“বুড়োমানুষ, ডিঙিতে চেপে গালফ স্ট্রীমে একাকী মাছ ধরে বেড়ায়। আজ চুরাশি দিন একটিও মাছ পায়নি ও। প্রথম চল্লিশ দিন একটা ছেলে ছিল ওর সঙ্গে। কিন্তু চল্লিশ দিন পরেও যখন কোন মাছ উঠলো না, ছেলেটার বাবা-মা ওকে বলল বুড়ো এখন নির্ঘাত সালাও, অর্থাৎ চরম অপয়া হয়ে গেছে।“
৮৫ তম দিনে বুড়োর অপয়া অপবাদ ঘুচানোর সুযোগ আসে।সেদিন এক বিশাল মারলিন ধরা পড়ল ওর বড়শিতে। শুরু হল এক অসম সাহসী সংগ্রাম। সমুদ্রের পানি থেকে তাকে টেনে তোলা সহজ কথা নয়।তিন দিন ধরে সংগ্রাম চলল। এই তিন দিনের কথাই উপন্যাসের আখ্যানভাগ।
সান্তিয়াগো বারবার বলেছে, “ ছেলেটা যদি আজ থাকতো এখানে ’’।আর এভাবেই লড়াই করার মানসিক শক্তি পেয়েছে সে। এর মধ্য দিয়েই হৃত যৌবন কে নতুন করে নিজের মাঝে উপলব্ধি করেছে।
সমুদ্র এখানে রূপক। বস্তুত আমাদের জীবনই একটা সমুদ্র।আর সেই সমুদ্রের মূল স্রোতধারা ধরে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। যেখানে হতাশ হলে চলবেনা। বৃদ্ধ জেলেটি যেমন একবারের জন্যও হতাশ হয়নি। এবং শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছিল সে।
এই বইয়ের সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে কথাটি তা হলো-
“মানুষের জন্ম তো হার স্বীকারের জন্য নয়। মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু কখনো পরাজিত হয়না…আশা হারিয়ে ফেলা বোকামি।”
স্বপ্ন, সংগ্রাম আর সাফল্যের এ দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দা সী বইটি পড়ার আমন্ত্রন রইল সকলের প্রতি।