ডাকটিকিট কি করে এল  ?Penny black পেনি ব্ল্যাক রানী ভিক্টোরিয়ার পোট্রেট দিয়ে করা প্রথম রয়্যাল ডাকটিকিট ,

ডাক বা কুরিয়ার সেবা প্রথম বেসরকারী একটি স্টার্টআপ ছিল উইলিয়াম ডকুরা নামে একজন উদ্যোক্তা এই পাবলিক সার্ভিস চালু করেন যা লন্ডনে কোথাও একটি চিঠি দ্রুত সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়। তার ব্যবস্থাপত্রটি দ্রুত সাথে ইংল্যান্ড এ জাতীয়করণ করা হয়।

এটা একটি নিখুঁত সিস্টেম থেকে দূরে ছিল, প্রাপকে দিতে হত ডাক মাসুল, অপ্রত্যাশিত চার্জ এবং ট্যারিফ যা এটি একটি চিঠি পাঠাতে অযৌক্তিকভাবে ব্যয় হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৫০ বছর টিকে ছিল। ভাবতে পারেন? চিঠি যে পাবে তাকে তার মুল্য দিতে হত? কিছু কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যায়, কিছু মানুষ এটার সুযোগ নিয়ে হিংসা প্রকাশের সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে, বেহুদা চিঠি পাঠিয়ে অপছন্দের কাউকে বিরক্ত করা যেত , আপনি যাকে দেখতে পারেন না বিনা কারনে তার টাকা খরচ হচ্ছে এটা ভেবে কিছু মানুষ সুখ পেত, মানুষ বিরক্ত হয়ে নালিশ ও জানাত সরকারের কাছে কিন্তু প্রতিকার পেত না।

কোন এক দিন ইংল্যান্ডর এ লোক লন্ডন এর কাছে তার ভাইয়ের কাছে চিঠি পাঠায় , চিঠির উপরে সাংকেতিক চিহ্ন দেয়া থাকায় সে ধরে বুঝতে পারে তার ভাই ভাল আছে এবং অতিসত্তর বাড়ী ফিরে আসছে , সে ডাক মাশুল দিতে অস্বীকার করে , ব্যাপার গড়ায় মামলা অবধি , Rowland Hil প্রস্তাব করেন ডাক মাসুল প্রেরক থেকে নেয়া হবে । জনের ভিত্তিতে ডাক মাশুল দেবার পদ্ধতিও এ সময় চালু করা হয় , বহুত জল ঘোলা করে তারপর রানি ভিক্টোরিয়ার ছবি সংবলিত ডাক টিকিট পেনি ব্ল্যাক ছাপা হয় ।May 1, 1840. ঠিক তার কয়েকদিন পর ৬ মে অফিসিয়ালি প্রচলন ঘটে এর।

রোল্যান্ড হিল এটি ডিজাইন করেন, যিনি ব্রিটিশ ডাক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অনেক অবদান রাখেন। তাকে বলা হয় ‘ফাদার অব পোস্টেজ স্ট্যাম্প’। পেনি ব্ল্যাক ইস্যু করার পূর্বে প্রতিটি চিঠিপত্র নগদ অর্থের বিনিময়ে খোলা অবস্থায় পাঠাতে হতো। লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো মানুষকে এবং প্রতিটি চিঠির ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যয় হতো। কাগজের সংখ্যা ও দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে অর্থ দিতে হতো। রোল্যান্ড হিল প্রথম উপস্থাপন করেন ইনভেলপের কথা, যাতে ডাকটিকেট লাগানো হবে অর্থের বিনিময়ে। এই ডাকটিকেটই হলো বিখ্যাত পেনি ব্ল্যাক। উইলিয়াম হুয়োনের আঁকা রানি ভিক্টোরিয়ার ছবি দেখা যায় পেনি ব্ল্যাকে। মাত্র এক বছর এই টিকেট ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ওপর লাল রংয়ের স্বাক্ষর বোঝা যেত না। এখনও এই ডাকটিকেটের দুই কপি টিকে আছে যেগুলো আসলে গুপ্তধনের চেয়ে কোনো অংশে কম কিছু নয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিলাম থেকে এর একটি বিক্রি হয় পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

এই রকম নানা ঘটনার শেষ এ জন্ম নেয় ডাকটিকিট, যা প্রেরকে প্রদান করতে হত ।