BILL GATES কে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে সুপার পাওয়ার নেয়ার কথা বলা হলে, সেটি আপনি কোন টি চান? তাঁর উত্তর ছিল, ” খুব দ্রুত পড়বার ক্ষমতা! ”
এবং আমেরিকান বিজনেসম্যান, ইনভেস্টর এবং Berkshire Hathaway এর চেয়ারম্যান Warren Buffett বলেন, ” আমি অন্তত দশ টা বছর নস্ট করেছি ধীরে পড়বার গতির কারন!” এটা থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় পড়ার অভ্যাস তাদের জীবনে কি রকম প্রভাব ফেলে।
দুজন ধনী এবং বিখ্যাত মানুষের উক্তি সুপাপাওয়ার সম্পর্কে একই! তারা একটাই সুপারপাওয়ার চান, সেটি হল ‘ দ্রুত পড়
দুজন ধনী এবং বিখ্যাত মানুষের উক্তি সুপাপাওয়ার সম্পর্কে একই! তারা একটাই সুপারপাওয়ার চান, সেটি হল ‘ দ্রুত পড়বার ক্ষমতা ‘! BILL GATES এবং WARREN BUFFETT দুজনেই মনে করেন,দ্রুত পড়বার ক্ষমতা যে কোন সুপার স্ট্রেংথ এর চেয়ে বেশি শক্তিশালী। যদি পৃথিবীর সব চেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ দের ভাবনা এরকম থাকে যে দ্রুত পড়বার শক্তি টা যে কোন জিনিশের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি, এর মানে আসলে কত গভীর তা আমাদের কে ভাবতে হবে। যদি সফলতা নামক সোনার হরিন কে ধরতে চাই।
আসলে, পড়ার অভ্যাস শক্তি এবং দ্রুত পড়বার শক্তি অনাগত ভবিষ্যত সম্পর্কে এবং অন্যদের ভুল জানবার মাধ্যমের নিজেদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন সচেতনতা র সৃষ্টি হয়। আমরা উপদেশ চাই, টিপস চাই – যারা কিনা সফল তাদের কাছ থেকে যে তারা কিভাবে সফল হয়েছেন, আপনি হয়ত তার কাছে যেতে পারবেন না কিন্তু পড়বার মাধ্যমে আপনি তার সমস্ত কিছু জেনে যেতে পারবেন। এবং পড়বার মাধ্যমে আপনি বই কেই পাবেন আপনার সব চেয়ে কাছের মেন্টর হিসেবে! যত বেশি পড়বেন তত বেশি নিত্য নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়া আপনার মাথায় আসবে। তবে, পড়া আর দ্রুত পড়ার মধ্যে ফারাক কোথায়? যখন রিডিং কে আপনি শক্তি হিসেবে নেবেন, আপনার প্রাত্যহিক কাজের মধ্যে নিয়ে আসবেন, আপনা আপনি আপনার দ্রুত পড়ার শক্তি বেড়ে যাবে। চলুন দেখে নেই,দ্রুত পড়ার অভ্যেস গড়ে তুলবার জন্য কি করা উচিত!
★ ছোট টার্গেট নিন-
এমন যদি হয়,আপনি গত মাসে একটি বই পড়েছেন, অথবা গত বছর!
মন খারাপ করবেন না কারন যারা বিলিওনিয়ার তাদের শুরুর দিকের অবস্থা এরকম ই ছিল।
এর জন্য শুরু করাটাই জরুরি।
আপনি শুরু করুন-দুই পাতা দিয়েই!
দুই পাতা – পারলে মজার কোন বই দিয়ে শুরু করুন।
পড়ুন।
আজকে দুই পাতা, কাল কে দুই পাতা এভাবে দেখবেন দুই দিন পর সেইম সময়ে আপনি তিন পাতা পড়েছেন।
আপনার প্রতিদিনের পড়বার কাজ এমন হবে,যাতে আপনি সেটি না করলে আপনার মনে হয় যে কি যেন আপনি করেন নি।
★ট্রিগার পয়েন্ট!
এ আবার কি? দ্রুত পড়বার জন্য এর কি দরকার?
দরকার টা যদি উদাহরণ দিয়ে বলি, ধরুন আপনি প্রতিদিন দাত ব্রাশ করেন। এখন টুথব্রাশ বা আয়নায় নিজের দাত দেখা – এটাই হল আপনার ব্রাশিং এর ট্রিগার পয়েন্ট।
এবং আপনার ব্রেইন কিন্তু এই ট্রিগার পয়েন্ট কে ফলো করে।
ফলো করে এইভাবে- ট্রিগার, রুটিন এবং অভ্যাস।
আপনি ঘুমুতে যাবার সময় অথবা সকালে কফির সাথেই পড়ুন।
যাই করবেন আধা ঘন্টা বা ৪/৫পাতা মনে রাখবেন এটি যেন আপনার বই পড়ার অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়।
★পুরষ্কার !
আপনি কোন বই পড়লেন, সে হিসেবে নিজেকে পুরষ্কৃত করুন। কিভাবে?
সব চেয়ে বেস্ট পদ্ধতি হচ্ছে সেটি সম্পর্কে রিভিউ লিখুন। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর গ্রুপ আছে, পোস্ট করুন। দুই একজন হলেও আপনাকে প্রশংসা করবে, সেটি আপনার পুরস্কার!
★ ক্যালেন্ডার এ লাল ক্রস X দিন
আপনি আপনার প্রতিদিনের টার্গেট শেষ করলেই ক্যালেন্ডার এ লাল ক্রস দিন।
এই অভ্যাস আপনাকে আপনার অভ্যাস কে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
প্রতিদিন পড়বার অভ্যাস আপনাকে দ্রুত পড়বার শক্তি দেবে।
★ ক্রমাগত নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন
আপনি পড়ছেন, এর মাধ্যমে জানছেন। কি করে খুব ছোট পরিসর থেকে পৃথিবী বিখ্যাত বিলিওনিয়ার এর জন্ম।
পড়তে পড়তে প্রতিটি আইডিয়া আপনাকে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। আপনি অনেক জানতে পারছেন আর এগুলোর থেকেই হয়ত আপনি এমন কোন উদ্ভাবনী আইডিয়া আপনার মাথায় আসলো- যা কিনা যুগান্তকারী!
দ্রুত পড়বার ক্ষমতা আপনার নিজের জন্যই দরকার! কেন? কারন আপনি সফল হতে চান,ভাল কিছু করতে চান আর এসব আপনার নিজের জন্যই করতে চান।
কিভাবে করবেন?
পড়ার শক্তি বাড়িয়ে!
দ্রুত পড়বার দক্ষতা অর্জন করে!