সফলতা অর্জন চাইলেই হয় না, জীবনে সফল হতে চাইলে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। সাথে সাথে আবার ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। অনেকেই এই কাজটি সহজেই পারে আবার অনেকেই হতাশায় ভুগে। আবার ভুল করে। ব্যর্থ হয়, ভেঙ্গে পড়ে, জীবন শুরু হওয়ার পূর্বেই জীবনকে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা করে। কিন্তু যদি সবাই জীবনের ভুল বা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সুন্দর –সুখী জীবন গড়তে পারে তাহলে কতই না ভালো হয় ।।
চলুন জেনে নিই কিছু সফলতা অর্জন করার কিছু সমাধানঃ
দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনঃ
সফলতা অর্জন করতে হলে প্রথমেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা উচিত। আমি এই কাজটি পারি না, আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমি সুন্দর না, আমার রুপ নেই, আমি কালো-বেটে, আমার পরিবার খুব গরিব, আমি স্টাইল বা স্ট্যান্ডার্ড বুঝি না—মূলকথা যত নেগেটিভ বা না সূচক চিন্তা-ভাবনা আছে সব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী করেছে। সবার জন্য আলাদা আলাদা কাজও রয়েছে। সে সেসকল কাযে সফল। সকলকে পজিটিভ মানসিকতার অধিকারী হওয়া উচিত। তাই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরী।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের মানসিকতাঃ
স্বপ্ন সবাই দেখে। কেউ জেগে দেখে, কেউ ঘুমিয়ে দেখে। জীবনে সফলের ক্ষেত্রে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা পুরোটাই সময়ের অপচয়। বরং স্বপ্ন কে কিভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে সে চেষ্টা করা ও তার জন্য সময় দিয়ে লেগে থাকাই হলো জীবনের সার্থকতা।
ব্যর্থ হলেই হাল ছেড়ে না দেওয়াঃ
সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়েই জীবন। সফলতা অর্জন করতে হলে ব্যর্থ হতেই হয়। আর সেই ব্যর্থতা নিয়ে যে এগিয়ে যেতে পারে সেই সফল হয়। আলভা এডিসনের কথা আমরা সবাই জানি। স্কুল থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সে সকলের কাছে নিজের কর্মে পরিচিত। ১০০০ বার ভুল করেও হাল না ছেড়ে দেওয়ায় সে আজ সকলের নিকট সমাদৃত।
শর্টকাট পথে না চলাঃ
সফলতা অর্জন করতে চাইলে এই পথে যাওয়া যাবে না, কমবেশি সবাই শর্টকাট পথে চলতে পছন্দ করে। কিন্তু শর্টকাট পথে কখনোই সফল হওয়া যায় না। সফল হতে হলে দীর্ঘ সময় দিতে হয়, বিস্তারিত জানতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়। তাই জীবনে ভালো কিছু করতে চাইলে শর্টকাটকে না বলতে হবে।
নিজের মনের কথা শুনাঃ
নিজের মন কি বলে সে কথায় শুনা উচিত। সফলতা অর্জন করতে চাইলে নিজের মনের কথাকে গুরুত্ব দিন। অন্যের ফালতু কথাকে এডিয়ে যাওয়ায় শ্রেয়। সৎ মানুষের সাথে থেকে নিজের জীবনকে উন্নত করা যায়। তাই হাজারো ফালতু মানুষের ভিড়ে না থেকে একজন সৎ মানুষের নিকট থেকে অনেক কিছু শিখা যায়। ভালো মানুষ ভালো কথা বলে, উপদেশ দেয়। তাই সত্যের ও সততার সাথে থাকা উচিত। নিজের মনের সঠিক কথা শুনা উচিত।
বই পড়াঃ
আমরা অনেকেই পড়াকে শুধু চাকরী পাবার উপায় ভেবে থাকি। যে যত পড়বে সে তত ভালো চাকরী পাবে। চাকরীও পেয়ে গেছে পড়াশুনাও ছিঁকেয় (শেষ) উঠেছে; এই আমাদের অভিমত। কিন্তু চলার পথে (সু)জ্ঞান অপরিহার্য। নিজেকে জানার জন্য, ভালোমন্দ বোঝার জন্য, জ্ঞান অর্জনের জন্য সফলতা অর্জন এর জন্য বইপড়ার কোন বিকল্প নেই।
আনন্দদায়ক কাজ করাঃ
আমরা মানুষ, রোবট না।ক্লান্তি ভর করতেই পারে। নিজের কিছু ভালোলাগা মন্দলাগা থাকতেই পারে। আর সেই পছন্দ অপছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করা উচিত। একটু ভালো রাখার জন্য ভ্রমণ করা যেতে পারে, পরিবারের সবাই মিলে একসাথে আড্ডা দেওয়া যেতে পারে। এতে মনও ভালো থাকবে কাজও করতে ইচ্ছা করবে। একগেয়েমিটাও চলে যাবে।
সফলতা অর্জন করতে চাইলে হতে হলে একনিষ্ঠ হতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। প্রথমে কষ্ট হবে কিন্তু ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মিলবেই’ আজ হোক বা কাল। হতাশ হলে চলবে না। ভুল করে ভেঙ্গে পড়লে চল বে না ।বরং নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে। সফলতা একদিন আসবেই- ইনশাআল্লা