সুগন্ধি চাল ও মাংস মিশিয়ে রান্নার উৎস পার্সিয়ান, পরে তা মধ্য এশিয়া ও মুঘলদের হাত হয়ে উপমহাদেশে এসেছে,   এই রান্নটা অনেক রকম, অনেক স্বাদের হয়ে থাকে। একেক দেশের রান্নাটা একেক রকম  আজকে আমরা জানব মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান মানুষ কিভাবে রান্নাটা করে যা উজবেক পিলাভ নামে পরিচিত । খুব অল্প সময়ে বেসিক কিছু মশলা দিয়ে এই রান্নাটা করা যায়, মধ্য এশিয়ার খাবার গুলিতে মসলার জোগাড় যন্ত্র একটু কম কারন পুর্বে তাদের যাযাবর জীবনযাপন ।

উজবেক পিলভ বা উজবেক পোলাও , Uzbek plov রান্না করতে কি কি লাগবে ।

১ কেজি , গরু বা খাসি বা ভেড়ার মাংস ( গরু হলে নরম মাংস নেয়ার চেস্টা করবেন )
১ কেজি চিনিগুড়া বা বাসমতী চাল
২০০ মিলি তেল
২৫০গ্রাম গাজর
৩ টা বড় পেয়াজ
১.৫ চামচ জিরা
৪/৫ টা আস্ত রসুন
২/৫ টা কাচা মরিচ
সাদা গোল মরিচ এর গুড়া ফাফ চা আমচ
কিসমিস এক মুঠো
লবন পরিমাণ মত
পানি পরিমান মত

কোন একটি খাড়া পাত্রে এটি রান্না করলে ভাল হবে।

কিভাবে রান্না করবেন উজবেক পিলভ বা উজবেক পোলাও , Uzbek plov

পাত্রে তেল দিয়ে গরম হয়ে এলে, লবণ আর গোল মরিচ আর অল্প জিরা দিয়ে সিজনিং করা মাংস হালকা ভেজে নিন, কাটা পিয়াজ দিন, পিয়াজ হালকা লাল হয়ে এলে ফালি করে কাটা গাজর দিন

গাজর নরম হয়ে এলে কিসমিসসহ অন্য সব মসলা দিয়ে দিন, রসুন গুলি বসিয়ে দিন,  আস্ত রসুন গুলির উপরের খোসা বেছে নিবেন কিন্তু কোয়া গুলি খুলবেন না,  চাল যদি এক মগ হয় পানি দেড় মগের সামান্য একটু বেশী দেবেন, দিয়েই প্রথমে একটু জাল দিয়ে বলক উঠলেই, জ্বাল একেবারে কমিয়ে দমে রাখুন। ১০ মিনিট লাগবে রান্না শেষ হতে । জাল বন্ধ করে পাত্র পুরা এয়ার টাইট করে রেখে দিন আরো ২০ মিনিট । ব্যাস হয়ে গেল আপনার উজবেক পোলাও রান্না,  ৪/৫ জনকে আরামসে খাওয়াতে পারবেন  যতটা রান্না করেছেন।

একটু দেখতে হবে আপনি যদি চাল মাংস একবারে দিয়ে রান্না করতে না পারলে  পেলে   , কিছু পানি দিয়ে মাংস সিদ্ধ করতে হবে আর আলাদা পাত্রে পোলাও করতে হবে, পোলাও প্রায় হয়ে এলে মাংসের কড়াইতে ঢেলে দিয়ে দমে রাখতে হবে ।

উজবেক পোলাও বা উজবেক পিলাভ টা অনেকটা কাবুলি পোলাও এর মত , কিন্তু কাবুলি পোলাও নেট এ সার্চ দিলে যা পাওয়া যায় তা অনেকটা যগা খিচুড়ী মার্কা হয়ে গেছে,  আমি চেস্টা করেছি রেসিপিটার অথেন্টিসিটি বজায় রাখতে, এই ভাবে রান্না করে খেয়ে আপনার ভাল নাও লাগতে পারে কিন্তু ১২ রকমের মসলা মিশিয়ে রান্না না করেই অনেকে রেসিপি লিখে ১২টা বাজিয়ে দেয়, সেটা দেখে কেউ রান্না করলে তার সোয়া ১২টা যে বাজবে এটা আমরা বলতেই পারি।