“ক্রাচের কর্নেল”
লেখকঃ শাহাদুজ্জামান
বাংলা একাডেমী পুরুস্কারপ্রাপ্ত এই বইটি ২০০৯ সালে প্রকাশের পর থেকে, পাঠক সমাজে ব্যাপক আলোচিত ও সমাদৃত। লেখক হিসেবে শাহাদুজ্জামান এর খ্যাতি আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এই বইটি তাকে নিয়ে যায় এক অনন্য উচ্চতায়।
ক্রাচের কর্নেল বইতে পাকিস্তান-ভারত দেশ ভাগ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়কার ঐতিহাসিক পটভূমি গুলকে গল্প বলার মত করে লেখক যেভাবে এক সুতোয় গেথেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবিদার। যদিও গল্পের নায়ক মুক্তিযুদ্ধে পা হারানো, বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত কর্নেল তাহের, কিন্তু লেখক মুক্তিযুদ্ধের আগের ও পরের বিভিন্ন আলোচিত ও সমালোচিত রাজনৈতিক পটভূমি তুলে ধরেছেন সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার সাথে। বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় দুই রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের বলিষ্ঠ রাজনৈতিক পদক্ষেপ, রাজনৈতিক ভুল ও ক্ষমতার লড়াই — সবই সাবলীল ভাষায় চমৎকারভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে এই বইটিতে।
আমি হলফ করে বলতে পারি এই বইটি একবার পড়া শুরু করলে, শেষ না করা পর্যন্ত উঠতে পারবেন নাহ। আমার পড়ার গতি তেমন দ্রুত নাহ, তাছাড়া আমি একটু অলস প্রক্রিতির। কিন্তু ৩৪২ পৃষ্ঠার এই বইটি মাত্র দু রাতের মধ্যেই পড়ে শেষ করি! আমার এখনও মনে আছে বইটির শেষের চার-পাচ পৃষ্ঠা পড়ার পর তাহেরের শেষ পরিনতি দেখে, আমার চোখ ভিজেছিল।
এক কথায় বলতে গেলে “ক্রাচের কর্নেল” আমার সীমিত পড়াশুনা মধ্যে দেখা সেরা বই গুলর একটি। পড়ে দেখতে পারেন( যারা এখনও পড়েননি) হয়তো আপনাদেরও ভাল লাগবে।