রিভিউঃ দ্য আলকেমিস্ট
বইঃ দ্য আলকেমিস্ট

লেখকঃ পাউলো কোয়েলো 
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৯৭
রেটিংঃ ৩.৮৩/৫.০০ (good reads)
ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/৫.০০


The Alchemist
লেখক পরিচিতিঃ

পাউলো কোয়েলের জন্ম ব্রাজিলে । তিনি তাঁর লেখনীর জন্য খুব দ্রুত পরিচিতি এবং প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেন । বর্তমান পৃথিবীতে তিনি সর্বাধিক পঠিত লেখক হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেন । তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারও লাভ করেছেন । পাউলো হচ্ছেন এমন একজন লেখক, যিনি একটা জাতি এবং গণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একজন শক্তিশালী অনুপ্রেরণাদাতা ।   The Alchemist by Paulo Coelho বইটিও তার বিখ্যাত বই গুলোর একটি । দ্য আলকেমিস্ট বইটিই লেখককে নতুন করে চিনিয়েছে পাঠকদের কাছে ।

দ্য আলকেমিস্ট বই প্রসঙ্গেঃ 
সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০ মিলিয়ন কপি দ্য আলকেমিস্ট বইটি বিক্রি হয়েছে, আর ৭০ টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এই বই । কয়েক যুগের মধ্যে হয়ত এমন একটা বই প্রকাশিত হয় যা সত্যিকার অর্থেই পাঠকের জীবন চিরকালের জন্য বদলে দেয় । ইতিমধ্যেই এই বই আধুনিক ক্লাসিক সাহিত্যের মর্যাদা পেয়েছে ।

 

আলকেমিস্ট কাহিনী সংক্ষেপঃ সান্তিয়াগো, স্পেনের অধিবাসী । কিন্তু মনে
প্রাণে ভালোবাসে পিরামিডের দেশ মিশর। সে জানে, সেখানে রয়েছে গুপ্তধন। আর এই গুপ্তধন এর জন্যই সান্তিয়াগো চষে বেড়াতে চায় মিশরের পথে পথে, সাহারা মরুভুমির পথে পথে ।
সান্তিয়াগো মনে করে, মানুষ যতো তা লক্ষ্যের কাছা কাছি চলে আসে, ততই লক্ষ্যটা তাঁর জন্য বড় হয়ে দেখা দেয়। পথিমধ্যে সে পেয়েছে অনেককেই । রাজা, ব্যবসায়ী, এলকেমিস্টকসহ আরো অনেককেই। পিরামিড এর দেশ পাড়ি দিতে গিয়ে তাকে সম্মুখীন হয়েছে অনেক নির্যাতনের।
ভালোবাসাও খুজে পাবেন বইটি তে । রূপবতী ফাতেমার সাথে সান্তিয়াগোর দেখা । ফাতেমা হলো এক আরবীয় নারী। ফাতেমার রূপে মুগ্ধ হয়ে সান্তিয়াগো প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। ফাতেমাকে কতটুকু ভালোবেসেছিল তা বইটি না পড়লে বুঝতে পারবেন না। পৃথিবীতে ভালোবাসা জিনিসটা কী এ বইয়ের প্রতিটি পাতায় তা খুজে পাবেন । সবশেষে কিভাবে সান্তিয়াগো গুপ্তধন খুজে পান, তা জানতে বইটি পড়ে ফেলুন ।

সমস্ত যাদুকরী ভ্রমণকাহিনীর শ্রেষ্ঠ কাহিনী দ্য আলকেমিস্ট।

বই এর কিছু Quote/উক্তিঃ

১।“তুমি যখন কাউকে ভালবাসবে, অনেক ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে যাবে তোমার সামনে”।

২। “মানুষ কাজ করতে গেলে ঈশ্বর বসত করেন তার ভেতরেই। পৃথিবীর বুকে যতো মানুষ আছে তাদের সবার জন্য আছে কোনো না কোনো গুপ্তধন”।

৩। “কেউ যদি খাঁটি পদার্থে তৈরি কিছু পায়, তা কখনো ক্ষয়ে যাবে না। যে কোনো কিছু সবসময় ফিরে আসতে পারে। কিন্তু সেই ফিরে আসাটা কোন বেশে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ”।

৪। “ভালোবাসা কখনো কাউকে লক্ষ থেকে সরিয়ে দিতে চায় না। কেউ যদি লক্ষ ছেড়ে দেয়, তাহলে বুঝতে হবে সে ভালোবাসা সত্যি নয়”।

৫। “যারা স্বপ্নের পিছুধাওয়া করে, জীবন কোনো না কোনোভাবে তাদের সহায়তা করবে”।

৬। “যে জায়গা চোখে অশ্রু আনে, সে জায়গার ব্যাপারে সাবধান থেকো”।

৭। “ভালোবাসা হলো সে শক্তি, যা পরিণত হয় বিশ্বের আত্মায়। সমৃদ্ধ করে পৃথিবীর আত্মাকে”।

৮। “একবার যা হয় তা আর কখনো হতে পারে না। কিন্তু যা দুবার হয় তা তৃতীয়বার হবেই”।

৯। “পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ এ গ্রহের ইতিহাসে একটা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। সাধারণ যা সে নিজেও জানে না”।

১০। “কোনো মানুষ লক্ষ্য নিয়ে জীবন কাটালে সে প্রয়োজনীয় প্রতিটা ব্যাপার জানে। স্বপ্নকে অসম্ভব করে তোলে মাত্র একটা ব্যাপার: ব্যর্থ হবার ভয়।”

১১। “সাধারণত মৃত্যুর হুমকি মানুষের মনে বেঁচে থাকার আশা বাড়িয়ে তোলে”।

১২। “পৃথিবী আসলে ঈশ্বরের দৃশ্যমান অংশ”।