একটা ছোট এলোমেলো গল্প —

এক মেয়ে প্রথম প্রেগনেন্ট বিয়ের চার মাসের মাথায়।

সে অনেক শুনেছিল, মেয়েদের প্রথম প্রেগনেন্সি তে নাকি রাজরানী র মত আদর পাওয়া যায়।
সে খুব খুশি।
কিন্তু মা র বাড়িতে তেমন কেউ নেই।
বাবা খুব চুপচাপ।
মা অন্তঃসত্বা মেয়ে কে দুই এক মাস থাকতেই লন্ডন গেলেন বোনের বাসায় ।
এদিকে সব রকম সম্পর্ক থাকা সত্বেও কোন রকম আদর ত দূরের কথা, কেউ জিজ্ঞেস ও করেনা খাইসো নাকি।
না খেলে খাবা কিনা।
এর মধ্যে ইন্টার্ন প্র‍্যাগ্নেন্ট মেয়ে টা বাসা আর হস্পিটাল করে।
এক দিন, প্রায় ৭মাসের মাথায়
(এরমধ্যে মেয়ে টা কোথাও যায় নি, এক মিনিট এর জন্য না) – হাসব্যান্ড কে বললো, খালি পায়ে সবুজ ঘাসে হাটতে চাই। একটু কোথাও নিয়ে যাও প্লিজ।

মেয়েটা কারো সামনে বলেনি। ছেলেটা মানে হাসব্যান্ডটা পুরা ইন ল’জ এর সামনে কথা টা বলল।

তখন তার ননাস বললো, এ সময়ে না বের হয়াই ভাল।

এরপর শাশুড়ি বল্ল, তোমাদের এত বের হতে ইচ্ছা করে কেন?
আমাদেরতো বাসায় শান্তি লাগে। হাসব্যান্ড এর উত্তর, ওর চুল্কানি একটু বেশি।
অসম্ভব লজ্জায় মেয়ে টা কোন উত্তর করলো না। বাসায় এসে বলল হাসব্যান্ড কে, মানুশের সামনে এভাবে অপমান না করলেই পারতে।
নিবেনা বলে দিলেই হত। হাসব্যান্ড রেগে গিয়ে বললো, অরা কেউ মানুশ না। সব আমার আপন। আমার ফ্যামিলি।
এক কথা দু কথায় মেয়ে টা বললো, পুরা ফ্যামিলি নিয়ে অপমান করো, কেমন ফ্যামিলি তোমার।

বলার সাথে সাথেই কথা নাই বার্তা নাই–
ছেলে টা বেল্ট দিয়ে সপাং সপাং করে ৩/৪টা বাড়ি দিয়ে বললো, আমার ফ্যামিলি কে নিয়ে একটা কথাও না;

মেয়েটা কথা বলা, কাদা, চিতকার-কিচ্ছু করলো না।
সে ভাবছে, সে কি বলেছে এমন।
এরকম কথা ঝগড়া ত হয় ই।
বেল্ট দিয়ে, তাও আবার বাচ্চা নড়ে তখন।
মুর্তি র মত বসে থাকল।
চোখে পানিও না।

রাত দুই টায় হাসব্যান্ড এসে সরি বললো।
বললো, “সরি এত অল্প তে তোমাকে মারা উচিত হয়নাই। দাগ কাউকে দেখাইয়ো না।”

দাগ বসেনি তখনও। ফুলে লাল ছিল। দাগ ত মনে বসে গেছে।
১০০ বছরে যাবে কিনা সন্দেহ

গল্পটি কাল্পনিক হলেও আমাদের দেশে অহরহ ঘটে চলেছে