নারী, জন্মেই তুমি পেয়েছো অজস্র স্থান
ত্রিভুবনে ছড়িয়ে ছিল
মায়া,মমতা,স্নিগ্ধতা আর কমল ভালবাসার
আহবান।

নারী, তুমি পেয়েছো আশানীত কিছু নাম
যেখানে তুমি, মা বোন স্ত্রী রুপে হয়ে আছো প্রান।
যেখানে তোমায় রাখা হয় দেহের ভিতরে
ভালবাসার পিঞ্জরে,
দেওয়া হয় তোমায় এমন মূল্য যা অজস্র হীরার
সমন্বয়েও হয়না তোমার সমান।

তোমার সানিধ্যে ছড়ায় যখন সকল সুখের সুর
গাছে গাছে পাখি, ফুল সেই সুরেই হয় সুমধুর।
যে তোমার আগমনেই ফুটেছে ফুল
কঠিন পাথরের বুকে,
তপ্ত রোদের আকাশ ফেটেও বেড়িয়েছে
বৃষ্টির হাজার সাধনার সুখ।

যেই তুমি সাজাও ধরনী তোমার সর্বশ্য দিয়ে
চেয়ে দেখ আজ তোমার জায়গা দাড়িয়েছে কোথায় গিয়ে।
যে গাছে তুমি ছায়ার জন্য দিয়েছো তোমার সবি
দিন শেষে সেই গাছের জন্যেই আসে
তোমার জীবনের গ্লানি।

সূৃর্যের আলোতে যেই তুমি দেখ হাজার রংয়ের ঝিলিমিলি
রাতের আধারে সেই তূমি দেখ ভয়ার্ত সুরের ঢলাঢলি।
আলোতে তোমায় যে বা যারা রাখতে চায়
মন পিঞ্জরে,
মুখোশ পড়ে যারা তোমায় দেখায় স্বর্গের পুরী
অন্ধকারে তাদের জন্যেই তুমি তলিয়ে যাও
তাচ্ছিল্যে ভরা কোনো এক আবদ্ধ ঘরে।

ধিক্কার দাও তাদের তুমি, যারা চলে এই মুখোশ বেশে
তোমারও আছে অনেক রত্ন যা পেয়েছো আশীসে।
জাগাও তোমার সেই সমস্ত না দেখা প্রলয়কারী মন্ত্র
যা দিয়ে ফুটাউ ফুল সুরের তালের অফুরন্ত।