মিরর থেরাপি কি আবার এটা? খুব সহজ না হলেও কঠিন কিছু না। নিজেকে শক্ত আর পোক্ত করার সর্বোত্তম পন্থা।

কিন্তু কিভাবে?

ভাঙা মন কখনো ই কাম্য না। কোথাও না। না নিজের কাছে, না অন্যের কাছে। বড় বাজে জিনিস এ ভাঙা মন। কোন মূল্য নেই এর, আবার ফেলে ও দেয়া যায় না। সারাক্ষণ অসহ্য বোধ, হতে পারে ব্রেকাপ এর কারনে, হতে পারে পড়াশোনা গ্যাপ বা বেকারত্ব কিংবা ফ্যামিলি প্রব্লেম।

এ ভাঙা মন ত বললেই জোড়া লাগেনা। ভাল হয়না। সেজন্যেই মিরর থেরাপি।

কিভাবে মিরর থেরাপি নিতে হয়?

এর জন্য আপনার লাগবে বড় একটা আয়না।
আয়নার সামনে দাঁড়ান। আয়নার ভেতর যাকে দেখা যাচ্ছে -সেই মানুষ টার ই যত সব সমস্যা, অই যে ভাঙা মন, এই সেই ব্যাক্তি। ভাল করে সেই ব্যক্তি টি র চোখে তাকান।
কিছু দেখতে পান?
পাবেন -দেখুন, রাগ, অভিমান, ক্ষোভ, দু:খ, জিদ, কষ্ট সব স-ব নিয়ে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। কিছু ক্ষণ তাকিয়ে থাকুন অই চোখে। এবার দেখুন একটু একটু করে আর্দ্র হতে শুরু করেছে। চোখের কোনা মুছবেন না। জল গড়িয়ে গেলে ও ক্ষতি নেই। দিন গড়াতে। বেশি চাপা কষ্ট থাকলে চোখের পানি চোখেই মিলিয়ে যাবে।

এবার আরো ৪০সেকেন্ড। তাকিয়ে থাকুন আয়নার সেই চোখে। তাকে বলুন…. “তুমি লুজার, কার জন্য কাঁদো। কিসের জন্য কাঁদো? কি আছে -সেটার দিকে ফোকাস না করে বোকার মত মন খারাপ কর। “

এরপর, সেই চোখ কে ভাল কিছু উপদেশ দিন। ওয়ার্ল্ড’স বেস্ট এডভাইস। আপনার ঠান্ডা মাথায় যা আসে।
এরপর হাসি দিয়ে বলুন আজ এই এখন থেকে আমি তোমাকে যা বলব তাই শুনবে। শুনতে হবে। কারন এই তোমাকে আমার চেয়ে বেশি কেউ ভালবাসেনা, আদর করেনা,যত্ন করেনা।

এরপর মিস্টি করে হাসুন।তার চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে অভয় দিন -যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। স-ব। পৃথিবী র সব চাইতে আপন মানুষ টা এখন তার সামনে দাড়িয়ে —
এই ই হচ্ছে মিরর থেরাপি।

বিশ্বাস করুন, মিরর থেরাপি নাটুকে হলেও প্রতিদিন ৪/৫মিনিট এর এই কনভারসেশন আপনাকে অনেক শক্ত করবে।

মনে রাখবেন নিজের প্রতি পক্ষ নিজেই। 
অই হারু, লুজার “আপনি “টা কে ফাইট করে আরো হারিয়ে দিন।
আপনি ই জিতে যাবেন। 🙂

ড: ফাহরিন