কালাভুনা বা কালোভুনার রেসিপি রহস্য অল্প পরিশ্রমে তেমন ই একটি ডিশ নিয়ে আমরা জানব যা আমাদের অনেকেরই ভীষণপ্রিয় গরুর মাংসের কালাভুনা বা কালোভুনা । এটা মুলত ফাস্ট মুভিং ফরোয়ার্ড স্টাইলের রান্না শুক্রবার আসলেই কেমন কেমন জানি লাগে ঘুম থেকে উঠে নামজের পরে খানা পিনা নিয়ে , আর বাসায় কারো দাওয়াত থাকলে তো কথাই নেই । যোগাড় যন্ত্র নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় ।
কালাভুনা নামে গরুর মাংসের পদ রান্নায় কি কি লাগবে দেখে নেই ।
কালাভুনা বা কালোভুনার রেসিপি তে যা লাগবে, গরুর মাংস ১ কেজি । সর্ষের তেল ১০০ গ্রাম পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। পেঁয়াজবাটা আধা কাপ। লাল গুঁড়ামরিচ- ২ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া হাফ চা -চামচ। ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ। জিরাগুঁড়া ১ -চামচ। আদা বাটা ১ চা চামচ , রসুন বাটা ২ চা-চামচ, টক দই ২ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ৩/৪টি। গরম মসলাগুঁড়া আধা চা-চামচ রান্নার সময়, আর আধা চা-চামচ নামানোর আগে। তেজপাতা ৩/৪টি, লবণ স্বাদ মতো
গরম মসলাগুঁড়া করে নেবেন , বড় এলাচ ৪/৫টি। দারুচিনি ২/৩ টুকরা। । গোলমরিচ আস্ত হাফ চা-চামচ। লং ৫/৬টি।, জয়ফল একটার অর্ধেক, জয়ত্রী এক চা-চামচ ভাল করে , গ্রাইন্ডারে গুড়া করে নিতে ভবে যা কালাভুনার স্বাদ দুগুন করে দেবে ।
কালভুনা বা কালাভুনা তে পানি লাগে না, এটা কসাতে কসাতে সিদ্ধ হয়ে যাবার কথা, এই জন্য কেনার সময় সিনার দিকের মাংস নিন এবং হাফইঞ্চি থিক এর ১ ইঞ্চি লম্বা করে কাটবেন আঁশের আড়াআড়ি কাটবেন । আর মাংস শক্ত হলে এক চামচ চিনি বা কাচা পেপে বাটা দিতে পারেন ।
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, হাড়ীতে অর্ধেক তেল দিয়ে কাচা পিয়াজ কাটা+ গরম মসলা বাদে সব মসলা দিয়ে দিন , ভাল করে হাত দিয়ে মাখিয়ে মেরিনেট করে ঘণ্টা খানিক ম্যারিনেট করলে ভাল আর তা না করলে নাড়তে হবে আর চুলায় রাখতে হবে বেশীক্ষণ এই যা ।
এইবার চুলায় চাপিয়ে দিন হাফ জ্বাল দিয়ে, ভাল করে কসাতে থাকুন, অর্ধেক গুড়া মসলা এখন দিয়ে দিন , মাংস কষানো হতে থাকলে পানি বের হবে আর এই পানিতে মাংস সিদ্ধ হয়ে যাবে। মাংস নেড়ে দিতে হবে যেন কোনো ভাবেই তলায় মসলা বা মাংস লেগে না যায়। তাহলে কিন্তু ফ্লেভার পাবেন না আর মাংস পুড়ে গেলে কিন্তু খাওয়া যায় না ।
কষানোর পরে চুলার জ্বাল কমিয়ে রান্না করা কালাভুনার অন্যতম রহস্য 🙂
৪৫ মিনিট পরে প্রায় সিদ্ধ হয়ে খাবার মত হয়ে যাবে লবণ, মশলা সব ঠিকঠাক মতো হয়ে লালা রঙ হয়ে আসবে আর মসলাও মাখা মাখা হয়ে আসবে ঠিক তখনই চুলার জ্বাল কমিয়ে দেবেন । মাঝে মাঝে মাংস নেড়ে উপর নিচ করে দেবেন। খেয়াল রাখবেন কোনোভাবেই মসলা যেন পুড়ে না যায়। কালাভুনা খাবেন এর একটু খাটবেন না তা হয় নাকি ।
টেস্ট করে দেখুন আপনার সাধের কালভুনা সিদ্ধ হয়েছে কিনা, যেহেতু ইজ্জত কা সাওয়াল তাই সামান্য পানি দিন কিন্তু পরের বার এটা যাতে না করা লাগে খেয়াল রাখবেন । কারন কালাভুনা তে পানি দিতে হয় না , ১৫ মিনিট সিদ্ধ হয়ে এলে গরম মসলার বাকিটুকু কালাভুনার ভিতর দিয়ে দিন । এবার অন্য প্যানে এবার বাকি সর্ষের তেল দিয়ে গরম করে গোটা রসুন দিয়ে একটু পরে পেঁয়াজ দিয়ে দিন আস্ত শুকনামরিচ দিয়ে হালকা ভাজা হয়ে গেলে এটা কালাভুনার ভিতর ঢেলে দিন । দুই তিন মিনিট নাড়ার উপরে রাখুন যেন লেগে না যায় ।
আমরা ভাত, রুটি, পোলাও, নান , পরোটার সাথে কালাভুনা খেতে পারি
এই রান্নাটার রহস্য হল সারাক্ষন চুলার সামনে দাড়ায়ে থাকতে হয় , নাড়া দিতে হবে যাতে লেগে না যায় , যার জন্য আমি বলি এটা ফাস্ট মুভিং ফরোয়ার্ড স্টাইলের রান্না চুলার চেয়ে আপনার মুভমেন্ট বেশি হবে , আর মাথা গরম থাকলে এটা পারবেন না পুড়িয়ে ফেলবেন ।
কালাভুনা খেতে কেমন লাগে আমাদের একটু জানান কোথায় এটা ভাল রান্না হয় , বা কে এটা ভাল রান্না করতে পারে তাকে মেনশন দিয়ে তাকে ইমপ্রেস করতে পারেন । ভাল লাগলে শেয়ার করুন ।
আরো কিছু গরুর মাংসের পদ দেখতে ক্লিক করে পেজ ওপেন করুন ।
বই পড়ুয়াদের গ্রুপে যোগ দিতে পারেন চাইলে