স্বল্পোন্নত দেশের ধারণাটি ১৯৬০ এর দশকে প্রথম প্রবর্তন করা হয়। ১৯৭১ সালে প্রথমবারের মত জাতিসংঘ, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে পৃথকভাবে শ্রেণীবদ্ধ করে। মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিভিন্ন সূচকে নির্ধারিত সীমার (Threshold) মধ্যে থাকা দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বলা হয়ে থাকে। ১৯৭৫ সালে আমাদের বাংলাদেশ “নিম্ন-আয়” ক্যাটাগরি তে অন্তর্ভুক্ত হয়। নিম্ন আয় থেকে স্বল্প আয়, স্বল্প আয় থেকে স্বল্প উন্নত, স্বল্প উন্নত থেকে উন্নয়নশীল।
উন্নয়নশীল হতে হলে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে সেগুলো হলঃ
* মাথা পিছু আয়- ১২৩০ মার্কিন ডলার।
-এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর আয় ১২৭২ (সিডিপি এর তথ্য)
১২৭১ (বিবিএস এর তথ্য)
* মানব সম্পদ সূচক- ৬৬ এর বেশী।
-এই বাংলাদেশ এর অর্জন ৭২.৮ (সিডিপি এর তথ্য)
৭২.৯ (বিবিএস এর তথ্য)
*অর্থনৈতিক ভংগুরতার সূচক ৩২ এর কম।
-এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫.০
(সিডিপি এর তথ্য) ২৪.৮ (বিবিএস এর তথ্য)
তথ্য সূত্রঃ সিপিডি ও বিবিএস এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী।
জাতিসংঘের সুপারিশ ক্রমে তিনটি দেশকে এই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের খেতাব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যা তিনটা শর্তই পূরণ করেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ এই তিন বছর পর্যবেক্ষণ এর পরই কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলসি (সিডিপি) ১৬ই মার্চ ২০১৮ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি পত্র দিয়েছে।
এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর কালে বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি অন্যতম অর্জন।
একে আরোও স্মরণীয় করতে এবং উদযাপন করতে বাংলাদেশ ডাকবিভাগ একটি ডাকটিকিট, একটি উদ্বোধনী খাম, একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে।
বহুরং বিশিস্ট এই ডাকটিকিট এর নকশাবিদ সঞ্জীব কান্তি দাস।
মোট ৩,৫০,০০০ পিস ছাপানো হয়েছে।
ডাকটিকিট সংগ্রহ যারা করে থাকেন, তাদের জন্য আরও নতুন একটি উপহার এই ডাকটিকিট। সংগ্রহের জন্য নিকটস্থ পোস্ট অফিস, জিপিও অথবা ফিলাটেলিক শপ এ যোগাযোগ করুন।
You must be logged in to post a comment.