আমার প্রিয় চিত্রশিলীদের একজন

১ বিক্রিত ছবির টাকা হাতে পেলে ভিনসেন্ট ভ্যান গগ হতেন সব চেয়ে ধনী চিত্র শিল্পী ।
২ নিজের কান নিজে কেটে দিয়েছিলেন উপহার ।
৩ ভাইয়ের বিয়ের খবর শুনে নিজের খরচের উৎস নিয়ে ভয়ানক চিন্তিত হয়েছিলেন
৪ ভিনসেন্ট ভ্যান গগ 2,100 আকা ছবির ভিতর নিজের জীবন দশায় মাত্র একটি ছবি বিক্রি করতে পেরেছিলেন
৫ অভাব ছিল যার নিত্যসঙ্গী, মারা যাবার পরে তিনিই হলেন বিখ্যাত শিল্পী ।
৬ সম্প্রতি জানা যায় ভিনসেন্ট ভ্যান গগ আত্তহত্যা করেন নি ।

ভুবন বিখ্যাত এই শিল্পীর কাজের পিছনে তাঁর ভাইএর অবদান সবচেয়ে বেশি ।

জন্মেছিলেন ১৮৫৩ সালের ৩০ মার্চ হল্যান্ডে, ১৮৯০ সালের ২৯ জুলাই ফ্রান্সে তার জীবনাবসান ঘটে। এই পৃথিবীর আলোয় সে বেঁচেছিল মাত্র ৩৭ বছর।

ভিনসেন্ট ভ্যান গগ যে দিন মারা যান, তার ঠিক আগের দিনটা ছিল সে রকমই একটা ঝকঝকে দিন৷ সেদিনও গম ক্ষেতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন চিত্রকর৷ কাছেই ১৬ বছরের কিশোর রেনে সেক্রেটান ও তার বন্ধুরা ‘কাউবয়’ সেজে নিজেদের মধ্যে খেলা করছিল৷ তাদের সঙ্গে ছিল একটি ত্রুটিপূর্ণ বন্দুক ৷ হঠাৎ করে খেলার ছলেই গুলি বেরিয়ে যায় এবং একটা গুলি গিয়ে লাগে ফান গখ-এর পেটে৷ আহত হন তিনি৷ এবং পরের দিন মৃত্যুবরণ করেন৷ নাইফে জানান, ‘‘সেক্রেটান সচেতনভাবে শিল্পীকে গুলি করে নি৷ সে সময় ফান গখসহ সকলেই মাতাল ছিল৷ তাছাড়া, আমরা নিশ্চিৎ যে নিজেকে গুলি করার পরিকল্পনা নিয়ে ফান গখ গম ক্ষেতে যান নি৷ আত্মহত্যা করার কোনো বাসনাই তাঁর ছিল না৷”

তিনি ছোট বয়স থেকেই আঁকাআঁকি শুরু করেন। কিন্তু মধ্য বিশের পরে তিনি চিত্রকর্ম আঁকা শুরু করেন অসংখ্য বিখ্যাত চিত্রকর্ম তাঁর জীবনের শেষ দুই বছরে আঁকা। প্রতিকৃতি, প্রাকৃতিক দৃশ্য, সূর্যমুখী ফুল, গমের ক্ষেত ইত্যাদি তাঁর আঁকার বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল। মাত্র এক দশকে তিনি ২,১০০-এর বেশি চিত্রকর্ম আঁকেন, যার মাঝে ৮৬০টি তৈলচিত্র এবং ১,৩০০-এর বেশি জল রং, অঙ্কন, নকশা এবং চিত্র ছিলো।

১৮৮০ থেকে ১৮৯০! এই দশ বছরে সে এঁকেছিল নয়শটি তেলরঙ, জলরঙ আর ড্রয়িং মিলিয়ে সর্বমোট এগারোশটি ছবি। চিত্র-সমালোচকদের ভাষায়, ভ্যান গখ হচ্ছেন শিল্পীদের মধ্যে সেই দলের যারা ক্যানভাসে জগৎ সৃষ্টি করেছেন, দৃশ্যমান জগতের প্রতিচ্ছবি আঁকেন নি। কোনো একটি বিষয়বস্তু শিল্পীর মনে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করত, সে তাই রঙে ও আকৃতিতে অভিব্যক্ত করত।

সে চেয়েছিলেন পৃথিবীর জন্য ছবি আঁকতে, চেয়েছিল লোকে যেমনভাবে শেকসপীয়র বা ডিকেনস বা মার্ক টোয়েনের কথা শোনে, ঠিক তেমনভাবেই তার কথাও শুনবে। শুধু ধনী ক্রেতা নয়, সাধারণ মানুষ তার ছবিকে ভালোবাসুক, সে তাই চেয়েছিল। সে এঁকেও ছিল সাধারণ মানুষদের ছবি, সমাজর নীচু স্তরের মানুষের ছবি, কোনো শিল্পী যাদের ছবির বিষয়বস্তু করার কথা ভাবে না। তার ছবিতে এসেছে ছিন্ন বসনের ভিখিরি, মলিন হয়ে যাওয়া ঢলঢল করতে থাকা জামা গায়ে শিশু, বয়স্ক নারী – তার ভাষায় ‘যাদের মুখ ঘাসের ধুলো-জমা ডগার মতো’

তাঁর কিছু কাজ